লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মক্তবে আরবি পড়া শেষে আট বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে মসজিদের ইমাম আবুল কালাম।
বৃহস্পতিবার সকালে কৌশলে ডেকে নিয়ে মসজিদের ছাদে তার কক্ষে এঘটনা ঘটান ইমাম। শিশুটি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে ছেড়ে দিলে বাড়িতে গিয়ে তার মাকে বিষয়টি জানায়। ঘটনার পর থেকে ওই ইমাম পলাতক।
সন্ধায় এলাকাবাসী জানায়, ক্ষতিগ্রস্থ শিশু স্থানীয় প্রবাসীর মেয়ে ও ৩য় শ্রেণির ছাত্রী। অভিযুক্ত আবুল কালাম উত্তর চরবংশী ইউপির গাজি বাড়ি এলাকার বায়তুন জামে মসজিদের ইমাম ও একই এলাকার বেরিবাঁধের পাশে চরঘাসিয়া গ্রামের হাওলাদার বাড়ির আজিজুল হাওলাদারের ছেলে।
এ ঘটনা ভুক্তভোগী শিশুটির মা বলেন, ভোর ছয়টায় প্রতিদিনের মতো মক্তবে যায় সে। মক্তবের পড়া শেষ করে প্রতিদিনের মতো সে সাতটার দিকে বাড়ির দিকে রওনা দেয়। এসময় পথে ইমাম আবুল কালাম তাকে মসজিদের ছাদে তার কক্ষে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন করে। বাড়িতে এসে আমাকে জানালে মসজিদের সভাপতিকে জানাই। ঘটনার পর থেকে ওই ইমাম পলাতক। মেয়েটির উপর নির্যাতনের ঘটনা তার প্রবাসী বাবা খুব কষ্ট পেয়েছেন। তিনি ছুটিতে বাড়িতে আসলে ওই ইমামের কঠিন বিচার করা হবে।
এঘটনায় মসজিদের ইমাম আবদুল কালাম পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তার পিতা, মাতা ও নববধুও বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
রায়পুর থানার ওসি শিপন বড়ুয়া বলেন, ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা কেউ জানায়নি। শিশুর পরিবার থেকে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিশুকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালেও পাঠানো হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।